ঢাকার দোহারে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ইউনিটের অধীনে চলমান পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
Published : 16 Apr 2022, 07:23 PM
শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পদ্মা সেতুর উজানে দোহারের মাঝিরচর থেকে নারিশা বাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলছে।
প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানায় আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী শিল্পায়নে অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে শিল্পায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
“তবে এই বিপুল সম্ভাবনার পথে হুমকি প্রমত্তা পদ্মার ভাঙন,” সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে আইএসপিআর।
ইতোমধ্যে ৬ কিলোমিটার এলাকায় জিওব্যাগ ‘ডাম্পিং’ ও ‘প্লেসিং’ এর মাধ্যমে দোহার এলাকাকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হয়েছে। সেই সাথে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ প্রতিরক্ষা কাজের ৩ পয়েন্ট ৪৮ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে।
অবিশিষ্ট ২ দশমিক ৫২ কিলোমিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এছাড়া জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এর হাইড্রোলজিক্যাল ও মরফোলজিক্যাল স্টাডির সুপারিশ অনুযায়ী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ দশমিক ২০ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকল্পের ৫০ শতাংশ ড্রেজিং কাজ শেষ হয়ে যাবে। বাকি কাজ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বর্ষা মৌসুমের আগেই সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
আইডব্লিউএম এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আওরাঙ্গবাদ থেকে শাইনপুকুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ আরডিপিপি’তে নতুন করে অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন।