‘বেগমপাড়া’র বাড়িওয়ালাদের তথ্য ‘পাচ্ছে না’ দুদক

দেশ থেকে অর্থ পাচার করে যারা কানাডার কথিত ‘বেগমপাড়ায়’ বাড়ি করেছেন, তাদের কোনো তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2022, 04:10 PM
Updated : 26 Jan 2022, 04:10 PM

সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘বেগমপাড়ার’ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা চেয়েও পাননি তারা।

২০২০ সালের নভেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা জানানোর পরই ‘বেগমপাড়ার’ বিষয়টি আলোচনায় আসে।

কারও নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেছিলেন, অর্থ পাচারে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী থাকলেও সরকারি কর্মচারীই বেশি।

এরপর হাই কোর্ট অর্থ পাচারকারীদের পরিচয় জানাতে বলেছিল। দুদক সেই তদন্তে নামলেও এখনও কিছু জানাতে পারেনি।

বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন বলেন, “এখনও তো দেননি উনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী)। লিস্ট পাওয়ার তো কোনো মেকানিজম আমাদের নেই। বেগমপাড়ায় কার কার বাড়ি আছে, ওই তালিকা পাওয়ার মেকানিজম তো আমাদের নেই।

“যিনি বলছেন যে তার কাছে তালিকা আছে, উনাদের কাছে বার বার চাওয়ার পরও তো পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে আগাবো? আমরা পেলে অবশ্যই দেখব। আর আমরা যেগুলো পেয়েছি, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।”

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

কী কী পেয়েছেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে মানি লন্ডারিংয়ের কিছু আছে। বেগমপাড়ার কোনো তালিকা নেই, আমাদেরকে দেয়নি।”

অর্থ পাচারের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, “মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে তদন্ত করি, যে দেশে টাকা যায়, যত উন্নত দেশ হোক না কেন, তারা কিন্তু আমাদের তথ্য দেয় না। কারণ টাকাগুলো সেখানে যাচ্ছে, তারা টাকাগুলো রাখার জন্যই সবসময় সঠিক তথ্য দিচ্ছে না।

“তারা বলে মামলা হলে তথ্য দিবে, আরে মামলা হওয়ার জন্যই তো আমার তথ্য দরকার। কোনো দেশই দিচ্ছে না, সহজভাবে দিচ্ছে না। এই প্রতিকূলতা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়।”

“অনেক সীমাবদ্ধতার জন্য জনগণের প্রত্যাশা পূরণের কাছাকাছি যেতে পারছি না। তবে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব,” বলেন তিনি।