কাওয়ালির আসরে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি আসকের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কাওয়ালির আসরে হামলার নিন্দা জানিয়ে এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2022, 03:31 PM
Updated : 13 Jan 2022, 03:31 PM

বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কাওয়ালির আয়োজনে বুধবার সন্ধ্যায় হামলা হয়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে আয়োজকদের অভিযোগ।

আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, “অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আসছিল। যদিও সাদ্দাম হোসেইন (ছাত্রলীগ নেতা) অভিযোগ অস্বীকার করে এগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মনগড়া ও কল্পনাপ্রসূত বলে অভিহিত করেছেন।”

জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, “টিএসসির মত একটি জায়গায় এ ধরনের আয়োজনে হামলা চালানোর ঘটনা অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য, এবং নিন্দনীয়।

“আসক বিশ্বাস করে, এ হামলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যকীয়, অন্যথায় এমন বেপরোয়া আচরণ অব্যাহত থাকবে।”

গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

গুম হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির স্বজনদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে আসক।

বিবৃতিতে গোলাম মনোয়ার কামাল বলেন, “বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গত কিছু দিন ধরে নানাভাবে যোগাযোগ করছেন এবং নানা ধরনের প্রশ্ন বা তথ্য জানতে চাওয়ার মাধ্যমে তাদের হয়রানি করছেন।”

একইসাথে পরিবারগুলোর কাছ থেকে জোর করে লিখিত কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “যেখানে লিখিত রয়েছে যে, উক্ত ব্যক্তি গুমের শিকার হননি, তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতায় উদ্বেগ জানিয়ে আসক বলেছে, “গুমের শিকার এসব পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে স্বজনদের ফেরার প্রতীক্ষায় রয়েছেন, প্রতিটি মুহূর্ত তারা নানা নিরাপত্তাহীনতা আর ভীতির মধ্যে রয়েছেন, এভাবে তাদের হয়রানি করার ফলে তারা আরো বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।”

এ ধরনের তৎপরতা প্রকৃতপক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের খোঁজার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে ‘অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মনোয়ার কামাল।