গ্রেপ্তার মো. মহিউদ্দীন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের বাসিন্দা, তার বয়স ২২ বছর। হত্যার শিকার ১৫ বছরের কিশোরীর বাড়িও একই এলাকায়।
মোবাইল ট্র্যাক করে অপরাধী সনাক্ত করার কাজে নিয়োজিত সিআইডির লফুল ইন্টারসেপশন সেলের (এলআইসি) একটি দল শুক্রবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কেডিএস এলাকা থেকে মহিউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার ঢাকার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
গত ১৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের পৈত্রিক বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ওই কিশোরীর মৃতদেহ গ্রামের একটি ধানক্ষেতে পাওয়া যায়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়।
মুক্তাধর বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মহিউদ্দিন বলেছে, তার সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে সে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল।মহিউদ্দীন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে মেয়েটি তাদের সম্পর্কের বিষয়টি পরিবার ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করার কথা বলে।
“এরপর আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৭ নভেম্বর রাতে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে ডেকে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেয়েটির বাবা ছাতকে পরিবহন সংশ্লিষ্ট পেশার সঙ্গে জড়তি। দুই বছর আগে এক লন্ডন প্রবাসীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে ‘মোবাইল ফোনের মাধ্যমে’ ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে তার সঙ্গে মহিউদ্দীনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, মেয়েটিকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা গত ২৪ নভেম্বর ছাতক থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় মহিউদ্দীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।