মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেন। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে।
রানার করা মামলায় একটি স্কুলের টাকা আত্মসাৎ, চাঁদা দাবি এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর গোয়েন্দা পুলিশের মামলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে ‘উগ্র বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই দুই মামলায় ইব্রাহিমকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান ওসি।
গত মঙ্গলবার ভোর রাতে মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে ইব্রাহিমকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের টিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য কথিত এই ধর্মীয় বক্তা গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেছিলেন, “কাজী ইব্রাহীম সম্প্রতি বেশ কিছু বিষয়ে খুবই উগ্র বক্তব্য দিয়েছেন এবং অবৈজ্ঞানিক কিছু কথা বলেছেন।”
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ায় ‘নারীর দাড়ি গজাচ্ছে’, ‘পুরুষ কণ্ঠ পাল্টে যাচ্ছে’ এ ধরনের বক্তব্যসহ ইব্রাহীমের বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এক বক্তৃতায় তিনি করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের ‘গাণিতিক সূত্রও’ দিয়েছিলেন।
চলতি বছরের শুরুতে বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, এক প্রবাসী ‘স্বপ্নে’ ওই সূত্র পেয়েছেন, তিনিই তাকে বিষয়টি বলেছেন।