আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পার্থ গোপাল বণিক

দুর্নীতির মামলায় বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার জজ আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2021, 08:06 AM
Updated : 19 Sept 2021, 08:26 AM

হাই কোর্টের নির্দেশে পার্থ গোপাল বণিক রোববার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

শুনানি শেষে বিচারক শেখ নাজমুল আলম তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে মামলাটি এ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

গত ১৭ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দিয়েছিলেন। এরপর পার্থ গোপাল কারামুক্ত হন।

পরে ওই জামিনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সেই আবেদনের শুনানি করে গত ২ সেপ্টেম্বর একটি হাই কোর্ট বেঞ্চ পার্থ গোপালের জামিন বাতিল করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের দেয়।

সেই সাথে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে মামলাটি স্থানান্তর করে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে। পরে সেদিন বিকালে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করার কথা জানানো হয় দুদকের তরফ থেকে।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশে  পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

সেই মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পার্থ গোপালের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৮০ লাখ টাকার কোনো ‘বৈধ উৎস’ তিনি দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ৮০ লাখ টাকা বিভিন্ন ‘অনিয়ম, ঘুষ, ‍দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপার্জন করে অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন’ মর্মে প্রমাণিত হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৪ সালে ৩১ হাজার ২৫০ টাকা বেতন স্কেলে কারা উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান পার্থ গোপাল। বাসায় পাওয়া ওই অর্থ তার বেতনের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’।

গত বছরের ৪ নভেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পার্থ গোপাল বণিকের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এরপর ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷