সরকারি দপ্তরগুলোতে কাজের গতি বাড়াতে সঠিক কর্মকর্তাকে সঠিক জায়গায় পদায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেইজ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
Published : 07 Sep 2021, 04:57 PM
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কর্মজীবন কর্মপরিকল্পনা নীতি আমরা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। অফিস প্রধান যোগ্য ব্যক্তি হলে আমরা অফিসটিকেই পরিবর্তন করে দিতে পারি। ‘রাইট ম্যান রাইট প্লেস’ এটা যদি নিশ্চিত করতে পারি, তবে প্রত্যেক অফিসের কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে পারব।
“যে যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, গবেষণা করেছেন, তাকে সেই দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এতে কাজের গতি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগগুলো কমে গেছে। ‘রাইট ম্যান রাইট প্লেস’ বাস্তবায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেইজ তৈরি করতে যাচ্ছি।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ডেটাবেইজ তৈরি হলে আমরা উপযুক্ত লোকগুলোকে খুব দ্রুত খুঁজে পাব। কর্মকর্তাদের সূক্ষ্ম
সূক্ষ্ম বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে তাদের এই ডেটাবেইজে যুক্ত করে তাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হবে।
“যুগোপযোগী পদায়ন নীতিমালা আমরা তৈরি করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ ছয় মাস না করে আরও বেশি সময় ধরে করা।”
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৯ জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ৭ হাজার ৯৬৮টি পদে নিয়োগের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ৪৮ হাজার ৫১০টি বিলোপে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজ করতে ১৯টি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে ফরহাদ বলেন, “দক্ষ জনপ্রশাসন গড়তে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আমরা দক্ষ, জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সবাই জনগণের জন্য কাজ করবেন।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের কারণে আমরা মহামারীর মধ্যেও কাজ চালিয়ে যেতে পেরেছি। পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নে আমরা জোর দিয়েছি। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৩০ শতাংশ ই-ফাইলিং হত। এখন ৮০ শতাংশ ই-ফাইলিং হচ্ছে। এতে আমরা দ্রুত কাজ করতে পারছি।”
স্বচ্ছতা ও জবাবহিতিতা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আশা করছি প্রত্যেক মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করবে। প্রতি তিন বছর পর পর তারা সম্পদের হিসেব দেবেন।
“আমরা যখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, কথা দিয়েছি, আমরাও তিন বছর পর পর জমা দেব। ৫ বছর পর পর নির্বাচন হয়, সেখানে আমরা জমা দিই। প্রতি বছরই আমাদের দিতে হচ্ছে।”