রোববার ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোতে মেট্রোরেলের এই পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এই যাত্রায় ৬টি বগি নিয়ে ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে আবর ডিপোতে ফিরে আসে ট্রেন।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন এম সিদ্দিক, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি, জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ও মেট্রোরেলের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
ডিপোতে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ওবায়দুল কাদের কোচে উঠে ট্রেনের ভেতরের অবস্থা ঘুরে দেখেন।
এরপর মেট্রোরেল ডিপোর কোচ আনলোডিং এলাকায় নির্মিত একটি ছোট মঞ্চে উঠে তিনি পরীক্ষামূলক যাত্রা দেখেন।
ডিপো এলাকা থেকে মেট্রোরেলের কোচ এসে ওই মঞ্চের ঠিক আগে ভায়ডাক্টের ২০ মিটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর মন্ত্রী সবুজ পতাকা উড়িয়ে সংকেত দিলে মেট্রোরেলে ছয়টি কোচ ভায়াডাক্টের ওপর চলতে শুরু করে।
ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলে উত্তরা উত্তর, উত্তর সেন্টার ও উত্তর দক্ষিণ এই তিন স্টেশন পাড়ি দিয়ে মিরপুরের পল্লবী স্টেশনে গিয়ে থামে ওই ট্রেন। এরপর আবার ধীর গতিতে ডিপো এলাকায় ফিরে যায়।
গত ১১ মে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর ভেতরে প্রথমবারের মত গণমাধ্যমের সামনে এই বৈদ্যুতিক ট্রেন চালিয়ে দেখানো হয়।
ডিএমটিসিএলের অধীনে ঢাকা ও এর আশপাশে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি লাইন-৬। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
ডিএমটিসিএল এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার লাইনের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইনের অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগাগাঁও পর্যন্ত শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত শেষ করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়।