মঙ্গলবার ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দেওয়া আল আমীনকে। পরদিন ভোরে তার দুই সহযোগী মো. রাসেল এবং মো. সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজধানীর ডেমরা থেকে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়দানকারী আল আমীন বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মসহ স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রচার চালাতেন।
“জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত মানুষকে সুস্থ করা, বিদেশে যাওয়া সহজ করা, দাম্পত্য কলহ দূর করা, বিয়ের বাধা দূর করা, অবাধ্যকে বাধ্য করা, চাকরিতে পদোন্নতি, কম দামে সোনা কেনাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিতেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমীন ‘জিনের বাদশা সেজে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।
“তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে প্রিয়জনের ক্ষতি হওয়ার ভয় দেখিয়ে এই চক্রটি অর্থ আদায় করত। আল আমীনের একাধিক ব্যাংকে হিসাব আছে, সেসব হিসাবে লাখ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক হিসাবে গত ছয় মাসে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে,” বলেন সিআইডির বিশেষ সুপার মুক্তা।
এই চক্রটির বিরুদ্ধে প্রতারিত অনেকেই অভিযোগ নিয়ে আসছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আল আমীনকে রিমান্ডে আনা হলে আরও তথ্য মিলবে এবং ভুক্তভোগীরা যেভাবে অভিযোগ নিয়ে আসছেন, ধারণা করা হচ্ছে আত্মসাত করা অর্থের পরিমাণ কোটি টাকা ছড়িয়ে যাবে।”