মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, কোভ্যাক্স থেকে এই বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।
এছাড়া আগামী সপ্তাহের মধ্যে চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার একটি চালানও আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মর্ডানার এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এর আগে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে বাংলাদেশ ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছে, যে চালান এসে পৌঁছায় গত ৩১ মে।
পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার তিনটি হাসপাতালে এই টিকা প্রয়োগও করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সৌদি আরব ও কুয়েতগামী প্রবাসী কর্মীদের এই টিকা দেওয়া শুরু হবে।
মর্ডানার টিকা এলে তা হবে দেশে কোভিডের চতুর্থ টিকা।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে দেশে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচী। এপ্রিলে ভারত থেকে এই টিকার নতুন চালান না এলে টিকা দেওয়া স্থগিত করা হয়।
পরে চীনের সিনোফার্ম এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের ফাইজারের টিকা এলে দেশে আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভ্যাক্স থেকে আমরা কনফার্মেশন পেয়েছি। ২ অথবা ৩ তারিখে (জুলাই) আমাদের এখানে টিকা পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। এই চালানে ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।
“এটা ভালো খবর আমাদের জন্য। এটা পেলে টিকাদান কর্মসূচী আরও বেগবান হবে।”
গত শুক্রবার জাহিদ মালেক কোভ্যাক্স থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
মডার্নার টিকা ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সের মানুষকে দেওয়া যায়। প্রত্যেককে এই টিকা দুই ডোজ করে দিতে হয়।
প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই কোম্পানির টিকা সংরক্ষণ করতে হয়।
এই টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত বলছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম হলো কোভ্যাক্স, যা বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে।