পাচার হওয়া অর্থের তথ্য দিচ্ছে না বিভিন্ন দেশ: দুদক চেয়ারম্যান

বিদেশে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে না পাওয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2021, 12:38 PM
Updated : 15 June 2021, 12:38 PM

মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোটার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ পাচার রোধে কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে তিন মাস আগে দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেওয়া মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, “মানি লন্ডারিংয়ের ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য আসতে হয়, তথ্য-উপাত্ত যেগুলো সাধারণত ডকুমেন্টারি হয়… ডকুমেন্ট ঠিকমত পেলে আমাদের মামলায় হারার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে (মানি লন্ডারিং মামলায়) আমাদের সাফল্য। সেসব ডকুমেন্ট এবং তথ্য না পাওয়াই এখন আমাদের প্রধান অন্তরায়, অল্প সময়ের মধ্যে আমার এই অভিজ্ঞতা।“

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিকভাবেও তথ্য সংগ্রহ করব। এই বিষয়ে আমরা জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট ফোরামে স্বাক্ষর করেছি। সত্য কথা কী, সব দেশ থেকে সময়মত তথ্য সহযোগিতা পাচ্ছিনা।

“অনেক দেশ বলে যে, মামলা হয়েছে কিনা, তারা বলে মামলা হলে আমরা তথ্য দেব। কিন্তু আমাদের মামলা করার জন্যই যে তথ্যের দরকার… এমন নানা ধরনের সমস্যা। এই সমস্যা অতিক্রম করার জন্য অবশ্যই আমরা পরিকল্পনা করব। এ বিষয়ে বলার মত পরিকল্পনা এখনও হয়নি।”

অর্থ পাচারের অনুসন্ধান ও তদন্তের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তের জন্য কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জানিয়ে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, প্রথমিকভাবে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেই বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারে কারা জড়িত, তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকার কথা সম্প্রতি জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গত ৭ জুন সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় বিরোধীদলীয় সদস্যরা অর্থ পাচারের প্রসঙ্গ আনলে মুস্তফা কামাল অর্থ পাচারকারীদের নাম জানা থাকলে তার কাছে দেওয়ারও অনুরোধ করেন। অর্থ পাচার ঠেকাতে সরকার সক্রিয় রয়েছে বলেও ওইদিন দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে গত ১০ মার্চ দুদকে যোগদানের দিন চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেছিলেন, দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ এবং চলে যাওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।