সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই চার সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন জুলাইয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 19 May 2021, 07:13 PM
আটকে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ২৪ মে কমিশন সভায় ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বুধবার বিকালে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ শূন্য আসনে উপনির্বাচন করতে হবে। আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, “চার উপনির্বাচনের বিষয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হয়েছে। করোনার কারণে, লকডাউনের কারণে এ চারটি নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ২৪ মে কমিশনের পরবর্তী সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারিত হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করা হবে।”
চার সংসদীয় উপনির্বাচন ছাড়াও ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ ও ১০ পৌরসভার ভোট আটকে রয়েছে।
কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয় ২৮ জানুয়ারি। ১১ এপ্রিল এই আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় নির্বাচনটি স্থগিত করা হয়। এখন এই নির্বাচন ২১ জুলাইয়ের মধ্যে করতে হবে।
গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে; ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ এর আসলামুল হকের মৃত্যুতে এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ এর আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনটি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।