আদালতের এই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন আলী খান হাসান।
আবেদনে তিনি বলেছেন, ঢাকার নারিন্দার দক্ষিণ মৌশন্ডীর হামিদা বেগমের কাছ থেকে জালাল একটি মামলায় তার ছেলে বিপ্লব হোসেনের জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাত লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন। পরে দুটি চেকে পাঁচ লাখ টাকা ফেরত দিলেও অবশিষ্ট দুই লাখ টাকা ফেরত দেননি।
জামিন করাতে না পারলে হামিদা জালালের কাছে এই টাকা ফেরত চাইলে বার বার তাকে ঘুরিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন পেশকার জালাল।
আবেদনে বলা হয়, আইনজীবী ছাড়া কোনো আদালত কর্মচারী বা অন্য কেউ কোনো বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে জামিন করা, মামলা করার জন্য কোনো টাকা গ্রহণ করতে পারেন না।
হামিদা বেগম এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ জানালে তার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঢাকার মহানগর দায়রা জজ বরাবর এ লিখিত আবেদন দেন।
ওই আবেদনের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
হামিদা বলছেন, জালাল হোসেন তাকে পূবালী ব্যাংক ঢাকা বার লাইব্রেরী শাখার তিন লাখ এবং সোনালী ব্যাংক ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল হল শাখার দুই লাখ টাকার দুটি পৃথক চেক পাওনা টাকার বিপরীতে পরিশোধ করেন। বাকি দুই লাখ টাকা তিনি ফেরত দেননি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে জালালের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অভিযোগের কথা জানা গেছে।
গত বছর চেক প্রতারণার একটি মামলাকে কেন্দ্র করে অ্যাপার্টমেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের (এডিডিএল) চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হোসেন চৌধুরীর কাছ থেকে তিনি ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিন বছর আগে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিয়ন মো. নাইমের বিরুদ্ধে জামিন জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি মামলায় সাজা দিয়েছিলেন ঢাকার তৎকালীন পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আকতারুজামান।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য পেশকার জালাল উদ্দিনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।