আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২ নভেম্বর দিন রেখেছে আদালত।
Published : 05 Oct 2020, 07:37 PM
শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। সেখানেই এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।
মামলার প্রধান আসামি জিকে শামীমকে এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয়। বাকি আসামিদেরও কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
অপর আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।
ওই অভিযানের পরদিন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত চলার মধ্যেই সিআইডির আবেদনে শামীম, তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৯৪ ব্যাংক হিসাবও জব্দের আদেশ দেয় আদালত।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ গত ৪ আগস্ট আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সাত দেহরক্ষীসহ জিকে শামীমের বিচারও শুরু হয়েছে।