মুদ্রা পাচারের মামলায় সিআইডির আবেদনে সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
ওই আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গুলশান থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদনটি করেন।
আবেদনে বলা হয়, শামীম ও অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ বৈভবের মালিক হয়। বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে দেশে ও বিদেশে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরসহ নিজের ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্ছিত রাখে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর শামীমকে গ্রেপ্তারের সময় এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই পাওয়ার কথা জানিয়েছিল র্যাব।
জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।
ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদনে বলা হয়, “আসামি যে কোনো সময় মজুদকৃত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অপরাধলব্ধ আয় সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।”
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, জব্দ ওই হিসাবগুলোতে কয়েকশ কোটি টাকা রয়েছে।