ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নীল হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর তদন্ত শেষ করে ১৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
Published : 05 Oct 2020, 01:52 AM
অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রোববার অভিযোগপত্র জমা দেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস।
হাকিম মোহাম্মদ জসিম তা ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেন বলে আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই ইউসুফ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
অন্য আসামিরা হলেন- মাসুম রানা, সাদ আল নাহিন, মো. কাওসার হোসেন খাঁন, মো. কামাল হোসেন সরদার, মাওলানা মুফতি আব্দুল গফ্ফার, মো. মর্তুজা ফয়সল সাব্বির, মো. তারেকুল আলম ওরফে তারেক, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাহাব, মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের।
আসামিদের মধ্যে জিয়া পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আগামী মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এই মামলার তারিখ ধার্য রয়েছে।
২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট রাজধানীর গোড়ানের ১৬৭ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় ঘরে ঢুকে ব্লগার নীলাদ্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
তার দেহে ধারালো অস্ত্রের ১২টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা।
অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু ও অনন্ত বিজয় দাশের মতো এই ব্লগারকেও হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএস।
ঘটনার দিনেই নিলয়ের স্ত্রী আশামণি অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
২৭ বছর বয়সী নীলাদ্রি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেকটিভ নামে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ব্লগে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের আগে কিছুদিন ধরে হুমকি পাওয়ার পর নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে তিনি জিডি করতে গেলেও থানা তা নেয়নি বলে ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখে গিয়েছিলেন।