বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রকল্প বাস্তবায়নে নয়-ছয়

বাগানের অর্থ খরচ হয়েছে, অথচ বাগান নেই; গাড়ি কেনার অর্থ খরচ হলেও গাড়ির দেখা মিলছে না; যতগুলো শটগান কেনা হয়েছে, সেগুলোও মিলছে না; ঝুলন্ত সেতু হয়ে পড়েছে নড়বড়ে; এসি কেনা হলেও সেগুলো হয়ে গেছে নষ্ট।

জাফর আহমেদ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2020, 02:01 PM
Updated : 9 Sept 2020, 02:06 PM

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে এমন অনেক অনিয়ম ধরা পড়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূলায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পরিদর্শনে।

অভিযোগ উঠেছে, বন অধিদপ্তর বাস্তবায়িত এ প্রকল্পে নানা অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।

সম্প্রতি আইএমইডি প্রকল্পটি নিয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তাতে নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে আরও অনিয়ম রয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে।

এবিষয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি এখনও আমার নজরে আসেনি। আইএমইডি যদি এই বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকে, তাহলে আমরা তা অবশ্যই দেখব।”

২০১০ সালে ৬৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক’ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।

৩৪ মাসে ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়; তাতে তিন বছর মেয়াদের প্রকল্পটি শেষ হয় ৯ বছরে।

এসময়ের মধ্যে প্রকল্পের ব্যয় ৪০৯ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে উন্নীত হয় ৩২৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকায়।

২১৭টি অঙ্গে ভাগ করার মাধ্যমে কাজ চালিয়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রকল্পটির সমাপ্তি ঘোষণা করে ২০১৯ সালের শেষের দিকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) প্রতিবেদন জমা দেয় বন অধিদপ্তর।

এরপর আইএমইডি ওই সমাপ্ত প্রতিবেদন ধরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পায় নানা অনিয়ম।

বাগান উধাও

প্রকল্পের আওতায় কলাবাগান সৃজন করতে ৫ লাখ টাকা এবং বাঁশবাগান সৃজন করতে ৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

কিন্তু পরিদর্শনের সময় এই বাগান দুটির অস্তিত্ব না পাওয়ার কথা জানায় আইএমইডি।

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, “কলাবাগান ও বাঁশবাগান দুটি অঙ্গের বাস্তবায়ন না করা হলেও পিসিআর (সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে) এ বাস্তব ও আর্থিক অগ্রগতি শতভাগ দেখানো হয়েছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও বন অধিদপ্তরের পরিচালক জাহিদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কলাবাগান ও বাঁশবাগান করা হয়নি, এটা ঠিক নয়। আমরা দুটি বাগানই তৈরি করেছি।

“কিন্তু আইএমইডি পরিদর্শনের আগে ওই বাগান দুটি নষ্ট হয়ে গেছে বলে তাদের দেখানো সম্ভব হয়নি।”

তবে আইএমইডির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, চূড়ান্ত পরিদর্শনের আগে আইএমইডির একজন পরিচালক ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি একজন সহকারী পরিচালক প্রকল্পটির অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাদের প্রতিবেদনেও সেখানে কলাবাগান এবং বাঁশবাগান সৃজন করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

ঝুলন্ত সেতু নড়বড়ে

সাফারি পার্কে দর্শকদের চলাচলের জন্য ২১০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে বরাদ্দ ছিল ৫০ লাখ টাকা।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প পরিচালক এ কাজের জন্য ৩৭ লাখ ২৮ হাজার টাকার একটি কার্যাদেশ চুক্তি করেন। কিন্তু ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতুটি এত নিম্নমানের কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সেতুটির দুই প্রান্তে উঠা-নামার স্থান ভেঙে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। ওই সেতু দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। মুল সেতুর কয়েকটি জায়গায়ও ফাঁকা।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাঠের সেতু তৈরি করার সময় আমি প্রকল্প পরিচালক ছিলাম না। তাই ওই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”

অস্ত্র উধাও

প্রকল্পটির আওতায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি শটগান ও ৬০০টি কার্তুজ কেনার কথা ছিল।

পরিদর্শনকালে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ২০টি শটগান দেখাতে পারেনি বলে আইএমইডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ২০টি শটগান কেনা হলেও ৫টি মৌলভীবাজার সাফারি পার্কে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।

গাড়ি একটি নেই, ৩টি নষ্ট

প্রকল্পের আওতায় দুটি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ ভ্যান কেনার কথা বলা হলেও আইএমইডি পরিদর্শনে একটি গাড়ি পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদনে দুটি পিক-আপ কেনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কাগজপত্রে দুটি পিক-আপ কেনার কোনো তথ্য দিতে পারেনি। আর যে পিক-আপটি কেনা হয়েছে, সেটিও নষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।”

এ দুটি পিকআপ ভ্যান কেনায় ৭২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল।

প্রকল্পের আরেকটি অঙ্গের মাধ্যমে ৭২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দিয়ে দুটি সাফারি জিপ কেনা হলেও পরিদর্শনকালে দুটি জিপই নষ্ট অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন আইএমইডি কর্মকর্তারা।

প্রকল্পটিতে চারটি সাফারি মিনিবাস কেনার অর্থ সংস্থান থাকলেও ২ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৫টি মিনিবাস কেনা হয়েছে।

একে অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইএমইডি।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা পিকআপ দুটিই কিনেছেন।

এসিও নষ্ট

প্রকল্পটির আরেকটি অঙ্গের মাধ্যমে জাদুঘর, ক্যান্টিন এবং ফুডকোর্টসহ বিভিন্ন জায়গায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ২০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগানের কথা ছিল।

সমাপ্তি প্রতিবেদনে ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ২০টি এসি কেনার কথা উল্লেখ করা হয়।

আইএমইডি পরিদর্শনে দেখা যায়, জাদুঘরে ৩টি, ক্যান্টিন এবং ফুডকোর্টে ৪টি এসি স্থাপন করা হলেও সবকটি নষ্ট। এগুলো মেরামতও করা হয়নি।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের কাগজপত্রে দেখা যায়, ১০টি প্যাকেজে ২৯টি এসি কেনা হয়েছে। এরমধ্যে ৫টি প্যাকেজে ১৫টি এসি কেনা হয়, যার পরিমাণগত তথ্যাদি কার্যাদেশপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। এরফলে কতটন এসি কেনা হয়েছে, তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

চিলড্রেন কর্নার (বেস্টনি, প্রবেশ গেইট, শেড ও টয়লেট ইত্যাদি) তৈরির জন্য সংশোধিত ডিপিপিতে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়।

এখাতের রোলার কাস্টার, ফেরি হুইল, প্যারাট্রুপার, মেরি গো রাউন্ড, মিনি বাটারফ্লাই ট্রেন, প্লেগ্রাউন্ড সেট সরবরাহ ও স্থাপনে ১ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হলেও সমাপ্তি প্রতিবেদনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এক্ষেত্রে ৫০ লাখ টাকা কীভাবে-কোথায় ব্যয় করা হয়েছে, তার কোনো উল্লেখ নেই।

পরিদর্শনে বেশ কয়েকটি খেলনা সামগ্রী নষ্ট অবস্থায় পাওয়ার কথা জানিয়েছে আইএমইডি।

সড়কেও অনিয়ম

প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার মিটার অভ্যন্তরীণ এইচবিবি (ইটের) সড়ক তৈরির জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়।

অথচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দিয়ে কার্যাদেশ দেয় ৩ হাজার ৩৪০ মিটার ইটের সড়ক তৈরির।

“কিন্তু ব্যয় দেখিয়েছে ৪ হাজার মিটারের জন্য নির্ধারিত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা,” বলা হয় আইএমইডির প্রতিবেদনে।

অর্থাৎ এই খাত থেকে ৪২ লাখ টাকার বেশি অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।

আইএমইডি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের অভ্যন্তরে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণের পরিবর্তে ৭ কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৭ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

এটি কেন করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা প্রকল্প কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএমইডির প্রতিবেদনে।

সর্প পার্ক

প্রকল্পটির আরেকটি অঙ্গ সর্প পার্ক নির্মাণ। সংশোধিত ডিপিপিতে সর্প পার্ক নির্মাণে ৩০ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়। কিন্তু এ কাজের জন্য ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, “কিন্তু সর্প পার্কের নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় দেখা গেছে। সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয় এ কাজের বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ৩৮ শতাংশ।

“পার্ক ভবনটির যতটুকু অংশ নির্মাণ হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ১১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয় হতে পারে, যা কার্যাদেশের মাত্র ৪৮ শতাংশ। চুক্তিমুল্য অনুযায়ী ব্যয় করা হয়নি বলে প্রমাণ হচ্ছে।”

দুটি অঙ্গের পুরো তথ্যই নেই

প্রকল্পের একটি অঙ্গের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকায় ১০ হাজার বর্গমিটার ইটের পার্কিং এরিয়া তৈরির সংস্থান ছিল। কিন্তু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ছয়টি প্যাকেজের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৪২ বর্গমিটার পার্ক নির্মাণের জন্য ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি ক্রয় চুক্তি করে।

বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ ক্রয় সংক্রান্ত পুরো তথ্য না দেওয়ায় বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয় আইএমইডির প্রতিবেদনে।

প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনী অনুযায়ী ১ কোটি ১৫ লাখ টাকায় ২ হাজার ৫০০ বর্গমিটারের ক্রাউন ফিজেন্ট এ্যভিয়ারি নির্মাণ করার কথা।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্যাদেশ পত্রে দেখা যায়, দুটি প্যাকেজে ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ক্রয় চুক্তি করা হয়। অথচ সমাপনী প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি ১০০ শতাংশ। অনুমোদিত কার্যাদেশ পত্রের বাস্তব কাজের পরিমাণ উল্লেখ না থাকায় প্রকৃত অগ্রগতি নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

ডরমিটরির বদলে ব্যারাক

প্রকল্পটির আওতায় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য প্রতিটি ৮০ বর্গমিটারের চারটি ভবন নির্মাণ করার কথা।

আইএমইডি বলছে, ৮০ বর্গমিটারের স্থলে ৫৯ বর্গমিটার বিশিষ্ট ডরমেটরি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ডরমেটরির পরিবর্তে ব্যারাক নির্মাণের কার্যদেশ দেওয়া হয়। এটা কেন করা হয়েছে, তা পরিদর্শক দলকে জানানো হয়নি।

প্রকল্পটির আওতায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ৭০ লাখ টাকা দিয়ে ৫৮০ বর্গমিটারের চারটি ব্যারাক নির্মাণের কথা থাকলেও সেটাও ৪৮০ বর্গমিটারের করে নির্মিত হয়েছে বলে আইএমইডির দাবি।

প্রকল্পের আরেকটি অঙ্গের মাধ্যমে ১১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা দিয়ে একটি তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

কিন্তু আইএমইডি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে গেলে সরকারি কোনো ছুটি না থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রটি বন্ধ ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রকল্পটির আওতায় ৪৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কথা। কিন্তু অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৯০ একর।

ভূমির মূল্য বৃদ্ধির কারণে অবশিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি বলে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন।

“কিন্তু অবশিষ্ট অঙ্গ সমুহের বাস্তব কাজ অসমাপ্ত থাকার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সন্তোষজনক কোনো ব্যখ্যা দিতে পারেননি,” বলা হয়েছে আইএমইডি প্রতিবেদনে।