ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়কে ওএসডি করা হয়েছে; ‘অসদাচরণ ও আত্মসাতের’ অভিযোগে অফিস সহকারী মো. ইশহাককে করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত।
Published : 22 Jun 2020, 11:56 AM
দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামানের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
মো. ইশহাক ডিএসিসসির সম্পত্তি বিভাগে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। অসদাচরণ এবং আত্মসাৎ, তহবিল তছরুফ ও প্রতারণার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্তও অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ সিটির সহকারী সচিব মোহাম্মদ আরশাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়কে গত ১৮ জুন তার দপ্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার সেই অফিস আদেশ জারি হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কাজের স্বার্থে জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়কে ‘বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ হিসেবে সচিবের দপ্তরে সংযুক্ত করা হল।”
এর আগে গত মাসে মেয়রের দায়িত্ব নিয়েই শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদারকে বরখাস্ত করেন।
দায়িত্বগ্রহণের পরদিন ১৮মে নগর ভবনে এসে মেয়র বলেছিলেন, ডিএসসিসিকে একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। এরপরই দুজনকে বরখাস্তের আদেশ আসে মেয়রের স্বাক্ষরে।
পরে দক্ষিণ সিটির রাজস্ব বিভাগের ‘বাজার সার্কেল-৩’ এর কর্মকর্তা আতাহার আলী খানকেও দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। সরকারের সম্পদ নষ্টের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় করপোরেশনের মশক শ্রমিক রাজন দাসকে।
রাজন দাস অস্থায়ীভাবে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরত ছিলেন। লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কীটনাশক ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এছাড়া মশক নিধন কার্যক্রম সুপারভাইজিংয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য অঞ্চল-২ এর সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।