ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহার এবং শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দোহাকে (ড. রতন) সাময়িক বরখাস্ত করে রোববার আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এনিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ সরকারি চাল আত্মসাৎ এবং অন্যান্য অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ২৪ জন চেয়ারম্যান, ৪৫ জন সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, তিনজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ মোট ৭৪ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
পৌর কাউন্সিলর নেহারের বিরুদ্ধে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে অনিয়ম করে নিজের পরিবারের সচ্ছল সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনসহ ১৬ ব্যক্তির নাম ভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
আর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা মৎস্যজীবীদের ভিজিএফের ৩৫ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে থাকায় শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।
একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরশীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মীর সালমান রহমান ডালিম এবং দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমান মতিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রোববার আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।