স্থানীয়দের বাধার পর আকিজের হাসপাতালের কাজ ফের শুরু

এলাকাবাসীর বাধার মুখে বন্ধ হওয়ার পর নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তেজগাঁওয়ে আকিজ গ্রুপের অস্থায়ী হাসপাতালের নির্মাণকাজ আবার শুরু হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2020, 05:55 AM
Updated : 29 March 2020, 10:38 AM

স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতার পর রোববার সকাল থেকে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয় বলে তেজগাঁও থানার ওসি মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শনিবারের ভুল বুঝাবুঝির পর রাতেই সিদ্ধান্ত হয় যে, এটা মহৎ উদ্যোগ। এখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে হাসপাতাল নির্মাণ হবে।

“ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টহল দল মোতায়েন আছে। সেখানে এখন কোনো ঝামেলা নাই।”

লায়লা অনজুম নামে এলাকার এক বাসিন্দা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আকিজ গ্রুপ যে এখানে হাসপাতাল করবে তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন কেউই জানে না। তাই বিষয়টি নিয়ে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।”

চলতি বছরের শুরুতে চীনের উহান শহরে প্রথম ধরা পড়া অতি ছোঁয়াছে নভেল করোনাভাইরাস ইতোমধ্যেই বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

উহান শহরেই দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে মাত্র ছয় দিনে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল চীন। সেই ধারণা থেকেই ঢাকায় দ্রুত একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনার কথা বলেছিল আকিজ।

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য আকিজ গ্রুপ ঢাকার তেজগাঁওয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে হাসপাতাল নির্মাণ করছিল, শনিবার দুপুরে সেখানে ভাংচুর চালায় এলাকাবাসী। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

কিন্তু হাসপাতাল হলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বেন এমন আশঙ্কা থেকে শনিবার দুপুরে এলাকাবাসী তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ারের পাশে আকিজের জমিতে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্পে গিয়ে বাধা দেয়।

দুই শতাধিক লোক আকিজের ওই স্থাপনায় গিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ও নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করে এবং বলাকা মোড়ে বিক্ষোভ দেখায়। এতে নিরাপত্তাকর্মী ও নির্মাণ শ্রমিকসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

রহিমা বেগম নামে স্থানীয় এক নারী বলেছিলেন, “এই এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে হাসপাতাল হলে এলাকাবাসীও সংক্রমিত হতে পারে। তাই দূরে কোথাও এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হোক।”

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মেলে। মাত্র ২২ দিনের মাথায় বাংলাদেশে ৪৮ জনের মধ্যে সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে আইইডিসিআর। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।