দিয়াবাড়িতে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপন ‘বিলম্বিত হচ্ছে’

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে ঢাকার উত্তরার পাশের দিয়াবাড়িতে যে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপনের কথা ছিল, তা এখনই হচ্ছে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2020, 01:43 PM
Updated : 21 March 2020, 01:43 PM

সেনাবাহিনীর পরিচালনায় দিয়াবাড়ি ও আশকোনার হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপনের কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

যাদের মধ্যে কভিড-১৯ রোগের লক্ষণ না থাকলেও তারা আক্রান্ত এলাকা থেকে এসেছেন কিংবা কোনো রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের আলাদা রাখার প্রক্রিয়াটি হল কোয়ারেন্টিন।

কোয়ারেন্টিন ইউনিট স্থাপনের খবর পেয়ে দিয়াবাড়ির আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

শনিবার সকালে দেখা যায়, যেখানে কোয়ারেন্টিন ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেখানে (দিয়াবাড়ি) কোয়ারেন্টিন স্থাপন বিলম্বিত হচ্ছে।”

তবে আশকোনার হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টিন ইউনিট সচল থাকছে বলে জানান তিনি।

হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে এর আগেও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনী।

আড়াই মাস আগে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর ওই শহর থেকে আসা বাংলাদেশিদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর তাদের ১৪ দিন পর ছাড়া হয়েছিল।

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী রূপ নিলেও চীনের উহান থেকে আসা বাংলাদেশিদের পর গুটিকয়েক বাদে সবাইকে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিনে না রেখে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছিল।

আশকোনার হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টিনে সেনাসদস্যরা (ফাইল ছবি)

বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করার পরও বিভিন্ন জেলায় তাদের বাইরে বের হওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না।

এই প্রেক্ষাপটে বড় আকারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছে সরকার, যার দায়িত্বে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে।

এই কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গকে বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

“হস্তান্তরের পর সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সব যাত্রীদের বিমানবন্দর হতে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে স্থানান্তর, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন, সেন্টারে থাকাকালীন আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, সংস্থা,অধিদপ্তর ও বাহিনী এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে জানানো হয়েছে।