তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে কারও মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বুধবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৯ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে আরও দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো মোট সাতজনে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮২ জনের।
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির মধ্যে গত ১৮ মার্চ সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিদেশ থেকে আসা একজন রোগীর পরিবারের সদস্য তিনি।
“অসুস্থ হওয়ার পর ঢাকার বাইরে একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে তাকে সেখান থেকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
“তার ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন ছিল। এ সমস্ত জটিলতার কারণে তিনি আজ সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”
এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দুজনের ক্ষেত্রে পরপর দুবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসায় তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ফ্লোরা।
তিনি বলেন, দেশে এখন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন। আরও ৪৭ জন আছেন আইসোলেশনে।
পুরনো খবর