বিদেশ থেকে এলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন

বাংলাদেশে আরও তিনজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বিদেশে থেকে আসা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2020, 09:44 AM
Updated : 16 March 2020, 02:28 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুশাসন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান।

সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “সরকারি প্রোগ্রাম, ট্রেনিং বা সাধারণ লোকজন যেই (বিদেশ থেকে) আসুক, তাকে অবশ্যই ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, এ বিষয়ে কারও ছাড় নেই, এটা স্পষ্ট।

“এটা ডিসি সিভিল সার্জন, এসপি, ইউএনও, মেয়র, চেয়ামারম্যান, মেম্বার, মসজিদের ইমামদের বলে দেওয়া হয়েছে, তারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগুলো প্রচার করবেন এবং এনশিওর করবেন।”

যদি কেউ কোথাও এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করেন, তার বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন সচিব।

মানিকগঞ্জে সৌদিফেরত একজনকে রোববার ওই আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, “রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার সোমবার দেশে ফিরেছেন। তাকে বলে দিয়েছি তুমি অবশ্যই ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোরারেন্টিনে থাকবে, এর মধ্যে অন্য অপশন নেই।

“যে কোনো অফিসার বা প্রাইভেট লোক হোক, যারাই বিদেশ থেকে আসবে, যে দেশ থেকেই আসবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যদি তার কারণে, সে যেই হোক, কোনো কিছু ঘটে আইনানুগভাবে তাকে ফেইস করতে হবে।”

এর  আগে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশ ফেরত কিছু প্রবাসী বা তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশিত ১৪ দিনের স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনের শর্ত ঠিকভাবে পালন করছেন না।

“অনেকেই মিথ্যা তথ্য ও গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সকলকে বর্ণিত আইন অনুযায়ী এবং নির্দেশিত পন্থায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানাচ্ছে। ব্যত্যয়ের ক্ষেত্রে আইনের সংশ্লিষ্ট শাস্তিমূলক ধারা প্রয়োগ করা হবে।”

সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে বা নির্দেশনা না মানলে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকার শাস্তির বিধান রয়েছে। আর মিথ্যা বা ভুল তথ্য  দিলে সর্বোচ্চ ২ মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে।