সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইসলামীয়া ইউনিভার্সিটিকে জরিমানা বাবদ ১০ লাখ টাকা করে বারডেম হাসপাতালের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটে জমা দিতে হবে। আর সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটিকে একই পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হবে কিডনি ফাউন্ডেশনে।
সেই টাকা জমা দেওয়ার রশিদ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে দিলে তারপর ওই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া এবং ফরম পূরণের অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বার কাউন্সিলের করা তিনটি রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে বার কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল ইউজিসির জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্খী ভর্তি করতে পারবে না। সে বিষয়টি জানিয়ে ২০১৯ সালের ১ অক্টোর বার কাউন্সিল এক নোটিসে জানায়, কোনো বেসরকারি বিশ্বাবদ্যালয় প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্খী ভর্তি করলে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে না।
এরপর ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। সেসব আবেদনে হাই কোর্টে বিভিন্ন সময়ে রুল জারি করে এবং তাদের পরীক্ষা দেওয়র অনুমতি দেয়।
এর মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইসলামীয়া ইউনিভার্সিটি ও সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির তিনটি ঘটনায় হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বার কাউন্সিল।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর বার কাউন্সিল ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করে, যার নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ রোববার তিন বিশ্ববিদ্যালয়কে জরিমানা করার নির্দেশ দিল।
আদেশের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, “শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপিল বিভাগে এই আদেশ দিয়েছে।”