রাজাকারের তালিকায় ভুল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিরা ২৫-৩০ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত কাগজপত্রে কারসাজি করতে পারে, যা তারা কল্পনাও করতে পারেননি।
Published : 19 Dec 2019, 01:06 AM
এই ভুলের জন্য আবারও দুঃখ করেছেন তিনি।
বুধবার মানিকগঞ্জে বিজয়মেলার মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বল্লার চাকে হাত দিয়েছি রাজাকার-আল বদরের তালিকা প্রকাশ করে। এখন বিভ্রান্তি অতিক্রম করে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সে দিকে সকলের নজর দিতে হবে।”
মোজাম্মেল হক বলেন, “বিএনপি-জামায়াতসহ সামরিক ও বেসামরিকরা ২৫-৩০ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন হয়ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত কাগজপত্র ম্যানিপুলেট করে থাকতে পারে। সেখানে কারচুপি করে কিছু কথা লিখে যেতে পারে, যেটা আমরা কল্পনাও করিনি।
“এ কারণে রাজাকারদের তালিকায় কিছু ত্রুটি হয়েছে। আমাদের ভুল হয়ে গেছে, এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় বরিশাল, বরগুনা, রাজশাহী, বগুড়া ও ঝালকাঠি জেলার মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কয়েকজনের নাম দেখে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ কর্মসূচিও দেওয়া হয়। বুধবার ওই তালিকা সংশোধনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তোবারক হোসেন লুডুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্মসচিব আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদদীন, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ ফটোসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।