মশা মারতে নতুন মেশিন আনল ঢাকা উত্তর সিটি

এবার মশা নিধন কার্যক্রমে গতি আনতে নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2019, 03:08 PM
Updated : 3 Dec 2019, 03:08 PM

মঙ্গলবার ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মশক নিধন কার্যক্রম আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে কীটতত্ত্ববিদদের (এনটোমোলোজিস্ট) পরামর্শে আধুনিক এসব যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে।

নতুন যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার এবং দুটি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন।

ডিএনসিসির আওতায় থাকা ১০টি অঞ্চলের প্রতিটিতে দুটি করে মিস্ট ব্লোয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও তিনটি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন কেনার প্রক্রিয়া চলছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলছে, মশার ডিম ও লার্ভা নিধনে মিস্ট ব্লোয়ার ব্যবহার করা হয়। ঢাকনা দেওয়া নালার ভেতরে ওষুধ ছিটাতে এটা ভালো কাজে দেয়। এর সাহায্যে ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত দূরত্বে ওষুধ ছিটানো যায়। এক কর্মীই এই মেশিন পরিচালনা করতে পারেন।

আর জার্মানির তৈরি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন পিকআপ ভ্যানে বসিয়ে উড়ন্ত মশা নিধন করা হয়। এতে অনেক দূর পর্যন্ত ‘এডাল্টিসাইডিং’ করা যায়।

এ বছর জুন মাস থেকে রাজধানীতে বাড়তে থাকে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এ কারণে গত ১১ মাসে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এবার অন্তত ২৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে ১২৯ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে তারা।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর এটাই রেকর্ড। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা খবরে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। এর আগে ২০০০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল ৯৩ জন।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মশক নিধন কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। পরে মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক তৎপরতা নেওয়া হয়, দুই বেলা ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়।

ডেঙ্গু ও এডিস মশা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন নজরে আসায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট। আদালত ডেঙ্গু নিধন কার্যক্রম নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে অসন্তোষও প্রকাশ করে।

এর মধ্যে ডেঙ্গুর ঝুঁকি কমলেও গত মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. বোরহান উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডেঙ্গুর জন্য জুলাই-অগাস্ট সময় ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এখন আবহাওয়া শুকনো হয়েছে, ডেঙ্গু মশা বিস্তারের ঝুঁকিও কমেছে।

“তারপরেও দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় প্রভাব কিন্তু রয়ে গেছে। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তেমন ঝুঁকি নেই। তবে সতর্কতা অবলম্বন করতেই হবে।”