বুধবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে 'আমেরিকা-বাংলাদেশ বিজনেস কনভেনশন-২০১৯' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাইফুজ্জামান বলেন, “বিদেশি কেউ বিনিয়োগ করতে এলে আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা বলে থাকেন, কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই৷ দিনে দিনে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে৷ সব কিছু ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে, সেখানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সব কিছু প্রস্তুত হচ্ছে৷ আমি সবাইকে সেখানে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
মন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে সারা বিশ্বের মানুষ বাস করেন৷ সেখানে অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন৷ যারা সেখানে রয়েছেন তারা বাংলাদেশের প্রতিনিধি৷ তাদের দায়িত্ব বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা৷”
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেস সদস্য লরেন্স লারোকো বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসায়িক বন্ধন আরও জোরালো করতে হবে৷ আমি আমার ভিজিটিং কার্ডে দুই দেশের পতাকা যুক্ত করেছি৷ আমাদের সম্পর্ক এমনই দৃঢ় রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে উভয় পক্ষের সুবিধা বজায় থাকে৷
ইউএস-টু-বিডির ডিরেক্টর রবার্ট লিগার্ট বলেন, “বাংলাদেশে আমি আট মাসের অভিজ্ঞতার কথা বলছি। এখানকার নিরাপত্তা ও সরকারের ভূমিকার কারণে ব্যবসার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে৷ ব্যবসায়ীরা তা ভোগ করছেন।”
কনভেনশনের আহ্বায়ক জুলফা হায়দার মোহাম্মদ নূর এ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কনভেনশনের সদস্য সচিব হাসানুর রহমান৷
এতে কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আফজাল, ইন্টার রিলিজিয়েন হারমোনি সোসাইটির চেয়ারম্যান মিয়া মুজিবুর রহমান বক্তব্য দেন।