বুলবুল: ১০ যুদ্ধজাহাজসহ নৌ কন্টিনজেন্ট ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশে আঘাত হানলে পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য ১০টি যুদ্ধজাহাজসহ নৌ কন্টিনজেন্ট ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 01:54 PM
Updated : 9 Nov 2019, 01:54 PM

ঊপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি ও সাতক্ষীরায় ৫টি, চট্টগ্রামে তিনটি ও সেন্টমার্টিনে দুটি যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের গতির শক্তি নিয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

সন্ধ্যার পর আইএসপিআর’র পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা অঞ্চলের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনায় বানৌজা কর্ণফুলী, তিস্তা, পদ্মা, এলসিভিপি ০১২ ও এলসিভিপি ০১৩ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি নৌ কন্টিনজেন্ট যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রামে তিনটি জাহাজ বানৌজা শাহজালাল, শাহ পরান ও অতন্দ্র দ্রুততম সময়ে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ ও ‘সমুদ্র অভিযান’ জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছে।

তাছাড়া নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা নৌ অঞ্চল থেকে মোতায়েনকৃত জাহাজগুলো বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুই হাজার প্যাকেট জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে।

এসব প্যাকেটের প্রতিটিতে রয়েছে সাড়ে ৭ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, দেড় লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিড়া, ১ কেজি মুড়ি, আধা কেজি গুড়, আধা কেজি বিস্কুট, ২ লিটার বিশুদ্ধ পানি, ২ ডজন মোমবাতি, ২ ডজন দিয়াশলাই বক্স এবং জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ।

এছাড়া সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযানে রয়েছে দুই টন চিড়া, এক টন মুড়ি, দুই টন চাল, দেড় টন গুড়, ৫০০ কেজি ডাল, ৭০০ কেজি চিনি, ৫০০ প্যাকেট মোমবাতি, ২৫০ ডজন দিয়াশলাই। এসব খাদ্যসামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের সহায়তায় দেওয়া হবে।

দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য পাঁচটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।