বেসিক কেলেঙ্কারি: দুদক চেয়ারম্যানকে ডাকছে সংসদীয় কমিটি

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সেই সঙ্গে কমিটির আগামী বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তলব করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেগম সাহারা খাতুন, আব্দুল মজিদ খান, শহীদুজ্জামান সরকার, শেখ ফজলে নুর তাপস ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী অংশ নেন।

সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্ট থেকে দেওয়া সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা কমিটিকে অবহিত করেন কমিটির সদস্য শেখ ফজলে নুর তাপস ।

“এ সময় কমিটি হাই কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করে দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সুপারিশ করা হয়।”

বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এর সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ধরা না পড়ায় ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করেছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। গত ১৪ অক্টোবর ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য ‘ব্যর্থতার দায়’ নিয়ে দুদকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইকবাল মাহমুদকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে গত ২৩ মে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার তদন্ত আড়াই বছরেও শেষ করতে না পারায় তদন্ত কর্মকর্তাদের সবাইকে তলব করে হাই কোর্ট।

ভূমি রেজিস্ট্রেশনে দুর্ভোগ কমাতে সাব কমিটি

বৈঠকে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং রেজিস্ট্রেশন ফি কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে রেজিস্ট্রি দলিল হাতে না লিখে শতভাগ দলিল কম্পিউটারে কম্পোজ করে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম সম্পাদনা করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা  হয়, দেশের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ভূমি রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি  ডিজিটাইজেশনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, জনদুর্ভোগের জন্য কারা জড়িত এবং কীভাবে তাদের হাত থেকে জনগণকে সহায়তা প্রদান করা যায় সে বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে সাব কমিটি করা হয়েছে।

কমিটি সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারকে আহ্বায়ক এবং মো. আব্দুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও বেগম রুমিন ফারহানাকে সদস্য করে চার সদস্য বিশিষ্ট সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়।