এবার কৃষক থেকে আমন ধান কিনবে সরকার

প্রথমবারের মতো প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি আমন ধান সংগ্রহে নেমে ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্য ধরেছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2019, 10:11 AM
Updated : 31 Oct 2019, 10:30 AM

২০ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান সংগ্রহ করা হবে বলে বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন।

সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কৃষকদের প্রতি নজর রেখে এবার প্রথম আমন ধান সংগ্রহ করা হবে, যা আগে করা হয়নি।

প্রান্তিক চাষীদের ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে সরকার প্রতিবছর বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ করলেও আমন মৌসুমে শুধু চাল সংগ্রহ করা হতো। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের সঙ্গে ৩৬ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল মিলারদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ টন চাল মজুদ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে আমন চাল কেনা শুরু হবে। ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

গত বছরের দামের চেয়ে এবার কমেনি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “এবার ধানের উৎপাদন খরচ ২১ টাকা ৫০ পয়সা। এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৫৩ লাখ টন।

“কৃষি মন্ত্রণালয় প্রান্তিক চাষীদের একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করবে। উপজেলা সংগ্রহ কমিটি যাচাই-বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করবেন। যদি তালিকায় বেশি চাষী হয় তাহলে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।”

এর ব্যাখ্যা দিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমন ধান কেনার জন্য লটারির মাধ্যমে যেসব চাষী নির্বাচিত হবেন, তারা বোরো মৌসুমে সুযোগ পাবেন না।

১০ টাকার চাল সাত মাস

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় অতি দরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রির মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়ে সাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ও মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ১০ টাকা করে চাল দেওয়া হবে। আগে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস দেওয়া হত।

‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ আওতায় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দেশের অতি দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

এবার ৫৬ হাজার গ্রাম পুলিশকেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলেদেরও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।