ঢাবির গবেষণায় সব কোম্পানির দুধেই মিলেছে অ্যান্টিবায়োটিক

বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

দীপক রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 02:52 PM
Updated : 25 June 2019, 02:52 PM

সেসঙ্গে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘি, ফলের জুস, মরিচ ও হলুদের গুঁড়া, পাম অয়েল, সরিষার তেল ও সয়াবিন তেলের নমুনা পরীক্ষা করে অধিকাংশকেই মানহীন পেয়েছেন তারা।

এসব খাদ্যপণ্য বায়োমেডিকেল রিচার্স সেন্টারসহ অনুষদের একাধিক ল্যাবরেটরিতে জাতীয় মান পরীক্ষণ সংস্থা বিএসটিআইয়ের মানদণ্ডে পরীক্ষা করে এই ফল পেয়েছেন ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকরা।

তাদের পরীক্ষায় পাওয়া ফলাফল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন বায়োমেডিকেল রিচার্স সেন্টারের পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। 

পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, পরীক্ষায় পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলোতেই লেভোফ্লক্সাসিন ও সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং ছয়টি টি নমুনায় এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এছাড়া পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের চারটি নমুনাতে ডিটারজেন্ট এবং অপাস্তুরিত দুধে একটি নমুনাতে ফরমালিন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

“আমরা যে ফলাফল দিয়েছি তা নমুনার ফলাফল। তার মানে এই নয় ওইসব কোম্পানির সব পণ্যই এরকম।”

এছাড়া টোটাল ব্যাকটেরিয়া কাউন্টে পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার কোনোটাই মানোত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর মান প্রতি মিলিলিটারে সর্বোচ্চ ৩০ সিএফইউ থাকার কথা থাকলেও সব নমুণাতে ৪৯-২৩৫ সিএফইউ পাওয়া গেছে।

বিএসটিআইয়ের মানদণ্ড অনুযায়ী দুধে ফ্যাট ইন মিল্ক সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি থাকার কথা থাকলেও পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুণার ছয়টিতেই এর কম (৩.২-৩.৪ শতাংশ) পাওয়া গেছে।

কলিফর্ম কাউন্টে পাস্তুরিত দুধের ২টি মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে এবং স্টেফাইলোকক্কাস স্পেসিজ জীবাণুর উপস্থিতি থাকার কথা না থাকলেও পাস্তুরিত দুধের ৫টিতে এটি পাওয়া গেছে।

পাস্তুরিত দুধের ব্র্যান্ডগুলো হলো- মিল্কভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ, ইগলু, ইগলু চকোলেট এবং ইগলু ম্যাংগো। অপাস্তুরিত (খোলা) দুধের তিনটি নমুনা রাজধানীর পলাশী, গাবতলী ও মোহাম্মদপুর বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি মানবদেহে কী প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে আ ব ম ফারুক বলেন, “বিভিন্ন সময় আমরা বলে থাকি অ্যান্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করছে না বা অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। তো কাজ করছে না এসব কারণে। কারণ শরীরের মধ্যে অলরেডি অ্যান্টিবায়োটিক ঢুকে আছে- এই কারণে অ্যান্টিবায়োটিককে যখন আমরা ওষুধ হিসেবে খাই তখন আর কাজ করে না।

“ফরমালিন তো স্বাভাবিকভাবেই মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে আগের তুলনায় এখন ফরমালিন দেওয়ার প্রবণতা অনেক কমেছে।”

ঘিয়ের মধ্যে তিলের তেল

বাজারে প্রচলিত ৮টি ঘিয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালানো হয়। এগুলো হলো- আড়ং, বাঘাবাড়ি, প্রাণ, মিল্কভিটা, মিল্কম্যান, সমির এবং টিনে বিক্রি হওয়া নামবিহীন দুটি নমুনা। বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ঘিতে জলীয় উপাদান সর্বোচ্চ ০.৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও সব নমুণাতেই ০.৭৫-১.১৭ শতাংশ পাওয়া গেছে।

আয়োডিন ভ্যালুতে সবগুলো নমুনাই মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে। এই উপাদান প্রতি ১০০ গ্রাম ঘিতে ২৬-৩৫ গ্রাম থাকার কথা থাকলেও ৮টি নমুনার সবগুলোই ৩৫ দশমিক ১২ থেকে ৫০ দশমিক ০২ গ্রাম পাওয়া গেছে।

এছাড়া ঘিতে তিলের তেলের কোনো উপস্থিতি নিষিদ্ধ থাকলেও এসব পণ্যের সবগুলোতেই এর উপস্থিতি ছিল। এই বিবেচনায় পরীক্ষায় ৮টি নমুনার সবগুলোই মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ফলের জুসে ক্ষতিকারক সাইক্লামেট

ফলের জুসের ১১টি ব্র্যান্ডের নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের শর্তপূরণ করে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলোতেই ক্ষতিকর কৃত্রিম মিষ্টিকারক সাইক্লামেট ব্যবহার করা হয়েছে।

যেসব পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয় সেগুলো হলো- স্টার শিপ ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক, সেজান ম্যাংগো ড্রিংক, প্রাণ ফ্রুটো, অরেনজি, প্রাণ জুনিয়র ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক, লিটল ফ্রুটিকা ম্যাংগো ফ্রুট ড্রিংক, সানড্রপ, চাবা রেড এপল, সানভাইটাল নেকটার ডি ম্যাংগো, লোটে সুইডেন্ড এপল ড্রিংক এবং ট্রপিকানা টুইস্টার।

শুকনা মরিচ, হলুদ গুঁড়া

বাজারে প্রচলিত আটটি শুকনা মরিচের গুঁড়া মশলা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালানো হয়। সেগুলো হলো- আরকো, বিডি, ড্যানিশ, ফ্রেশ, প্রাণ, রাঁধুনি এবং প্লাস্টিক ব্যাগে খোলা অবস্থায় বিক্রি হওয়া নামহীন ২টি।

বিএসটিআই স্টান্ডার্ড অনুযায়ী শুকনা গুঁড়া মরিচে এসিড ইনসল্যুবল এ্যাশ ১ দশমিক ২৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও আটটি ব্রান্ডের সবগুলো নমুণায় ১ দশমিক ৩১ থেকে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ পাওয়া গেছে।

হলুদের নমুনায়ও বিএসটিআই স্টান্ডার্ড মানা হয়নি। ৮টি নমুণার ৬টিতে জলীয় উপাদান বেশি পাওয়া গেছে। আর মেটানিল ইয়েলো নামের টেক্সটাইল কালারের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য না হলেও বেশ কয়েকটিতে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

পাম অয়েল

বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বলে প্রতীয়মান এমন ১০টি নমুনা ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। সেগুলা হলো- মিজান এবং টিনে খোলা বিক্রি হওয়া ৯টি নমুনা। বিএসটিআই স্টান্ডার্ড অনুযায়ী, পাম অয়েলে স্যাপনিফিকেশন ভ্যালু, ইনসল্যুবল ইমপিউরিটিজ, পারক্সাইড ভ্যালু ও জলীয় উপাদান সবগুলো নমুনাতেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। এই বিবেচনায় ১০টির সব নমুনাই মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।

সরিষার তেল

সরিষার তেলের ৮টি বিভিন্ন নামের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালানো হয়। সেগুলো হলো- রূপচাঁদা, রাঁধুনি, তীর, ফ্রেশ, পুষ্টি, সুরেশ, ড্যানিশ এবং বসুধা।

বিএসটিআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী সরিষার তেলের স্যাপনিফিকেশন ভ্যালু যত থাকার কথা তার থেকে বেশি রয়েছে ৮টি নমুনার ৩টিতে। পারক্সাইড ভ্যালু ১০ থাকার কথা থাকলেও ৪টি নমুনাতে এর পরিমাণ ছিল প্রায় দ্বিগুণ। আর রিলেটিভ ডেনসিটির পরিমাণও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল ৪টিতে। এছাড়া জলীয় উপাদানও বেশি পাওয়া গেছে ৮টি নমুনার সবগুলোতেই।

সয়াবিন তেল

সয়াবিন তেলের ৮টি নমুনার ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। সেগুলো হলো- রূপচাঁদা, ফ্রেশ, পুষ্টি, তীর, এসিআই পিওর, ভিওলা, মুসকান এবং মিজান।

বিএসটিআই স্টান্ডার্ড অনুযায়ী তেলের এসিড ভ্যালু যতটুকু থাকার কথা দুটি নমুনায় তার থেকে বেশি পাওয়া গেছে। স্যাপনিফিকেশন ভ্যালুর বিবেচনায় ৮টির মধ্যে ৭টি নমুনা মানোত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে।

৫টি নমুনাতে পারক্সাইড ভ্যালু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। আয়োডিন ভ্যালু ৮টি নমুনায় প্রয়োজনের তুলনায় ৪টিতে কম এবং ১টিতে বেশি পাওয়া গেছে। আর রিলেটিভ ডেনসিটি বেশি পাওয়া গেছে ৩টি নমুনাতে। জলীয় উপাদান ৮টি নমুনাতেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। এছাড়া মেটাল কনটেন্ট কপারের ক্ষেত্রে সবগুলোতে নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি এবং আয়রনের ক্ষেত্রে ৬টিতে বেশি ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে ফার্মেসির অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ ও অধ্যাপক রায়হান সরকার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ভেজাল খাদ্যগুলো তিনটি গ্রুপকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে উল্লেখ করে আবম ফারুক বলেন, “বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি হয়নি এবং গর্ভবতী মায়েদের যদি এসব ভেজাল খাদ্য খাওয়ানো হয় তাহলে মা এবং গর্ভের বাচ্চা দুই জনেরই ক্ষতি হয়। আর বৃদ্ধ যারা তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ম্যাচিউরড কিন্তু এগুলো এখন ধীরে ধীরে ক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে। এগুলো আগের মতো এখন আর সেভাবে কাজ করে না এজন্য তাদেরও বেশি ক্ষতি হয়।

তবে খাদ্যপণ্যের ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সব পণ্য মানসম্মত বলে দাবি করেছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড এন্টারপ্রাইজ।

ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মোহাম্মাদ আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিপোর্টটি আমরা দেখেছি। ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড এন্টারপ্রাইজের উৎপাদিত সমস্ত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন আইনানুযায়ী ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই’ এবং ‘বাংলাদেশ ফুড সেইফটি অথরিটি- বিএফএসএ’ কর্তৃক পরীক্ষিত এবং মাননিয়ন্ত্রিত।

“আমরা নিয়মিতভাবে উল্লিখিত দুটি প্রতিষ্ঠানে আমাদের উৎপাদিত পণ্য পরীক্ষার জন্য পাঠাই এবং তার ফল সংরক্ষণ করি। রিপোর্ট অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিগত এক বছরের মধ্যে পাওয়া মান পরীক্ষার রিপোর্টে কোনো ধরনের অসঙ্গতি বা ত্রুটিবিচ্যুতি ধরা পড়েনি।”

এবিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাণের দুধ ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ। আমরা আমাদের নিজস্ব খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে তা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কারখানায় নানা ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্যাকেটজাত করে বাজারে ছাড়া হয়। সে কারণে প্রাণের দুধে কোনো ভেজাল নেই এবং এতে কোনো ধরনের ক্ষতিকারক কিছু থাকার কোনো সুযোগ নেই।

বিএসটিআইসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগের শিক্ষক বা ছাত্রদের দুধ পরীক্ষা করার অধিকার আছে কিনা সেবিষয়ে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

ফার্ম ফ্রেশের প্রস্তুতকারক আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির কোয়ালিটি কন্ট্রোলার এম এম ইকবাল হোসেন বলেন, “খাদ্যের মান নিয়ে এ ধরনের গবেষণা যে কেউ করতে পারেন। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের উপস্থিত রাখলে আরো ভালো হতো। সবাই নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারতেন।

“আমরা সব সময় ভোক্তাদের জন্য ভালো খাদ্য পণ্য তৈরি করতে চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে মানের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উঠলে তা যাচাই-বাছাই করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর। গবেষণা প্রতিবেদনের অভিযোগের ভিত্তিতে পণ্যের মান আরো ভালোভাবে যাচাই করে তা খতিয়ে দেখা হবে।"

ইগলু ডেইরির হেড অব মার্কেটিং সুরাইয়া সিদ্দিকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরি ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে সম্প্রতি আমরা আমাদের পাস্তুরিত দুধের মান পরীক্ষা করিয়েছি। এছাড়া বিএসটিআইও ইগলু দুধের মান পরীক্ষা করেছে। সরকারি এই তিন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় মান সঠিক পাওয়া গেছে।

এদিকে মঙ্গলবারই হাই কোর্টে দাখিল করা একটি প্রতিবেদনের বিএসটিআই দাবি করেছে, বাজারে থাকা বিএসটিআই অনুমোদিত পাস্তুরিত তরল দুধে জনস্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকারক কোনো উপাদান নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের আইনজীবী সরকার এম আর হাসান মামুন বলেন, “বিএসটিআই অনুমোদিত পাস্তুরিত দুধ হল ১৮টি। আমরা যে রিপোর্টটা করেছি আগামী এক বছর যে এই রিপোর্ট একই রকম থাকবে এমন কোনো কথা নাই। প্রতিনিয়তই এটা পরিবর্তন হতে পারে।

“আমরা যখন নমুনা সংগ্রহ করেছি, তখন সেটা ঠিক ছিল। আর উনারা যখন নিয়েছেন তখন হয়তো কোনো তারতম্য ঘটেছে।”