তাদের প্রশ্ন, পঁচাত্তরে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যে উল্টোস্রোতে এদেশকে নেওয়া হয়েছিল, সেই বিকৃত ইতিহাস থেকে কি বেরিয়ে আসতে পেরেছে তরুণ প্রজন্ম?
একাত্তরের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্ম না জানলে মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন বৃথা যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মুক্তিযোদ্ধা ৯ নম্বর সেক্টরের গেরিলা যোদ্ধা এম এ মান্নান শিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের তরুণরাও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে অনেক নতুন তথ্য বের করে নিচ্ছে নিজেরাই।
“কিন্তু পঁচাত্তরের পর তাদের যে ভুল ইতিহাস শেখানো হয়েছে, ইতিহাসের অনেক উপাত্ত যখন মুছে ফেলা হয়েছে, তখন কতটা সঠিক ইতিহাস তারা শিখছে? এ প্রশ্ন কিন্তু থেকে যাবে।”
১৯৬৫ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন ক্যাপ্টেন মোশাররফ হোসেন।
তিনি তরুণদের ইতিহাস পাঠে গলদ খুঁজে পান পাঠ্যসূচিতেই।
“তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে না জানে, তাহলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, “পাকিস্তানের অপশক্তি এখন নানা অপতথ্য ছড়িয়ে, অপপ্রচার চালিয়ে তরুণদের বিভ্রান্ত করতে চায়। এভাবে তারা বড় বড় অর্জনকে ম্লান করে দিতে চায়।”
তরুণদের মধ্যে যারা নেতিবাচক ধারণা ছড়াতে চান তারা কখনও টিকে থাকতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“যারা নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে আছেন, তারা নিজেরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। ষড়যন্ত্রের পথ ধরে বেশি দিন টিকে থাকাও সম্ভব নয়,” বলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এ দেশে যতই দ্বিধাবিভক্তির চেষ্টা করুক না কেন, আমাদের আশা তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।”