উপজেলায় প্রথম ধাপে ভোটের হার ৪৩%

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে ইসি জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2019, 01:39 PM
Updated : 11 March 2019, 01:40 PM

ভোটগ্রহণের পরদিন সোমবার ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য তুলে ধরেন।

রোববার ৭৮টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাঁচ ধাপের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের কারণে এই নির্বাচন জৌলুসহীন বলে মন্তব্য এসে একজন নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকেই। ফলে অনেক ভোটকেন্দ্রই দিনের বেশিরভাগ সময় ফাঁকা দেখা গেছে।

ইসি সচিব বলেন, “প্রথম ধাপে ৭৮টি উপজেলায় ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ নাগরিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন।”

২০১৪ সালে সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড়ে ৬১ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

সেবার প্রথম পর্বে ৬২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দ্বিতীয় পর্বে ৬৩ দশমিক ৩১ শতাংশ, তৃতীয় পর্বে ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, চতুর্থ পর্বে ৫৬ দশমিক ১২ শতাংশ ও পঞ্চম পর্বে ৬০.৮৯ শতাংশ ভোট পড়ে।

২০০৯ সালে একদিনে সারাদেশে ভোট হয়। তাতে ৪৭৫টি উপজেলার মোট ভোটের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

ইসি সচিব বলেন, “যেসব কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। সেগুলো কেন বন্ধ হয়েছে, তা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

যে ২৮টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে, সেগুলোতে পঞ্চম ধাপে বা নতুন কোনো তারিখ নির্ধারণ করে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানান তিনি।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন বলেন, “এটা নৈতিকতার বিষয়। অনেক সময় অনেকে নৈতিকতা হারিয়ে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে। তবে সেগুলো নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।”

প্রথম ধাপের পর মার্চেই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে ভোট হবে। বাকি উপজেলাগুলোতে ভোট হবে রোজার পর আগামী জুন মাসে।

চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এই তিন পদে ভোট হচ্ছে। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে উপজেলা নির্বাচনে।