সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতার পর এজিএস পদে প্রার্থী হচ্ছেন সাদ্দাম হোসাইন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের সম্ভাব্য প্যানেল নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান এখবর নিশ্চিত করেন।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ছাত্রলীগের কার্যকম তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অন্যতম আখতারুজ্জামান নিজেও ডাকসুতে ভিপি ও জিএস ছিলেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জিএস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এজিএস পদে ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে লড়বেন।”
প্যানেল আর কে কে থাকছেন- জানতে চাইলে আর কিছু বলতে রাজি না হয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, “আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতারা তা প্রকাশ করবেন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি পদে লড়তে পারেন বলেও জানান আখতারুজ্জামান।
সঞ্জিত ইতোমধ্যে এক ফেইসবুক পোস্টে শোভন, রাব্বানী ও সাদ্দামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আগামী ১১ মার্চ ডাকসুর পাশাপাশি হল ছাত্র সংসদের নির্বাচনও হবে।
গত বছরের অগাস্টে শোভনকে সভাপতি ও রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠিত হয়। তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠিত হয়, যাতে পদ পান সাদ্দাম। তার তিনজনই আইনেরর শিক্ষার্থী ছিলেন।
শোভনের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে, তার দাদা ও বাবা দুজনই আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। রাব্বানীর বাড়ি মাদারীপুরে, সাদ্দামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়।
ছাত্রলীগ তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করলেও ডাকসু নির্বাচনে অন্য কোনো সংগঠন এখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি।
ছাত্রদল নানা দাবি তুললেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য একসঙ্গে প্যানেল দিতে যাচ্ছে। ছাত্র সংগঠনগুলোর পাশাপাশি কোটা আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদও এবার প্যানেল দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার শেষ সময় ২ মার্চ; যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ৩ মার্চ। ১১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হলগুলোতে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোটগ্রহণ হবে।