ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় গিয়াস উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসান জানান।
এ মামলার অপর দুই আসামি মকবুল হোসেন ও মহিউদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। মামলা চলাকালে আজিজুল হক নামের আরেক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে ১৯৯৭ সালের ৫ মার্চের মধ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন শাখায় ভুয়া নাম পরিচয় দিয়ে মিথ্যা লোককে শনাক্ত করে অ্যাকাউন্ট খোলেন। তারা জালিয়াতির মাধ্যমে ৫২ লাখ ৫৯ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনায় ১৯৯৭ সালের ২৫ মে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৩ সালের ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৭ জনের সাক্ষ্য নেয়। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার।