প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন।
সৈয়দ আশরাফের কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শফিউল বলেন, “তিনি গণমানুষের নেতা ছিলেন। তার নির্বাচনী এলাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার অবদান ও সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।
“বিশিষ্ট এই নেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আদর্শবান রাজনীতিককে হারল। মন্ত্রিসভা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে।”
৬৭ বছর বয়সী আশরাফ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা যান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “১৭৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং প্রবাসী জীবনযাপন করে ওখানে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন।”
১৯৯৬ সালে দেশে এসে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আশরাফ। ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এরং ২০১৮ সালে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
আওয়ামী লীগের দুইবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বিমান প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
শফিউল বলেন, তিনি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত সুনাম, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে এই দায়িত্ব পালন করেন।
“২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।”