আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি বুধবার দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
বিচারক এমএ জগলুল হোসেন বাদীর জবানবন্দি শুনে তার অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে এ ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আহমেদ জানিয়েছেন।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা হচ্ছে ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে, যিনি কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় ছিলেন।
এর মধ্যে রংপুরের একটি মানহানির মামলায় সোমবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকার হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টকশোতে ওই কটূক্তির জন্য মইনুল টেলিফোন করে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। তা না করায় মাসুদা ভাট্টি নিজেও মানহানির একটি মামলা করেছেন মইনুলের বিরুদ্ধে।
এছাড়া ভালুকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা মনি মঙ্গলবার ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেছেন।
সুমনা আক্তার লিলির করা মামলাটি হল মইনুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দ্বিতীয় মামলা।
লিলি তার আর্জিতে বলেছেন, মইনুলের ওই আক্রমণাত্মক বক্তব্য মাসুদা ভাট্টি এবং পুরো নারী জাতির জন্য ‘বিরক্তিকর, অপমানজনক, অপদস্থমূলক এবং হেয় প্রতিপন্নকর’।
মামলাটি দায়ের করা হয়েছে সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৩ (খ) ধারায়, যা জামিন অযোগ্য।