ইয়াবা (অ্যামফিটামিন), শিশা ও ডোপ টেস্টসহ সব ধরনের মাদককে নতুন বিলে যুক্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বিলটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দুদিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
এর আগে ৮ অক্টোবর প্রস্তাবিত আইনটি মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও মাদকদ্রব্যের উপজাত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব দ্রব্য কোনো কোনোটি জীবন বিধ্বংসী ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
“ইয়াবার আগ্রাসন ভয়াবহরূপে বেড়েছে। কর্মক্ষম যুব সমাজের বড় একটি অংশ ইয়াবা নামক মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। ইয়াবা ব্যবসার জন্য শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।”
বিলে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে, সাহায্য করলে বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তাকেও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে।
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তি পেতে হবে।
প্রস্তাবিত বিলে ইয়াবা ৫ গ্রামের কম হলে এক থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ইয়াবার পরিমাণ ৫ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
মাদকের চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, স্থানান্তর, আমদানি, রপ্তানি, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলামকরণ, ধারণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, সেবন, প্রয়োগ, ব্যবহারকে এ আইনে অপরাধ গণ্য করা হবে।
মাদকাসক্তের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, শারীরিক বা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি অভ্যাসবশে মাদকদ্রব্য গ্রহণ বা সেবনকারী ব্যক্তি।