রোববার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতের সময়সূচি ১ নভেম্বর বিকাল ৪টায় নির্ধারিত রয়েছে।”
৩০ অক্টোবর থেকে সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হওয়ায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এজন্যে সাক্ষাতের সময় চেয়ে চিঠিও দেয় ইসি।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এটা একটা ফরমালিটিজ। তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ।”
সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন সিইসির নেতৃত্বে ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত হয়। তার এক সপ্তাহের মাথায় ২৫ নভেম্বর ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
রোববার কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “এখনও ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমরা আরেকটি কমিশন সভা করব। ওই সভাতেই তফসিল চূড়ান্ত হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়েই তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করার প্রস্তুতি রয়েছে ইসির। সেক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হবে।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। আগামী ১১-১৮ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মধ্য ডিসেম্বরের পর থেকে যে কোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনার কথা আমাদের বলা হয়েছে।”
নির্বাচনের সময় বিদ্যালয়গুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষকরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।