ফারমার্সের সাবেক এমডিসহ ৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা জমা দেওয়ার ঘটনার অনুসন্ধানের স্বার্থে ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শামীমসহ সাতজনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2018, 06:08 AM
Updated : 26 Sept 2018, 11:40 AM

বুধবার ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, “বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।”

শামীম ছাড়া বাকি ছয়জন হলেন- বেসরকারি ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুতফুল হক, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাউদ্দিন, সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা সুলতানা ও সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জিয়া উদ্দিন ছাড়া বাকি ছয় জনকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের কেউ সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেননি।

এ অভিযোগের অনুসন্ধানে গত ৬ মে মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা নামে কথিত দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টির অনুসন্ধানের জন্য ওই দুজনকে তলবের কারণ দেখিয়েছিল দুদক।

দুদকের নোটিসে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ওই ব্যক্তির নাম উল্লেখ না থাকলেও পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি সিনহাই যে সেই ব্যক্তি, সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে সে খবর আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দুজনের আইনজীবী বিচারপতি সিনহার সঙ্গে লেনদেনের কথাই বলেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের ক্ষোভের মুখে গত অক্টোবরে ছুটি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সিনহা। তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

বিদেশে থেকে সম্প্রতি নিজের লেখা বইয়ে সিনহা দাবি করেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে পাঠানো হয়।

তার এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনার মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার বলেছিলেন, বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দুদক খতিয়ে দেখবে।

পরদিন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় কারও নাম প্রকাশ না করে বলেন, তারা একটি অভিযোগের অনুসন্ধান চালাচ্ছেন, তা শেষ হলে সাংবাদিকদের জানানো হবে।