রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব সিরাজুল ইসলাম খান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অপরূপ চৌধুরী এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এসময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, “এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের সব বড় সরকারি হাসপাতালগুলোতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেবে।”
তিনি জানান, এই ১৫ লাখ টাকা অনুদানের মধ্যে প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবে দেশের সব বড় সরকারি হাসপাতাল।
আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এ খাতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “এই অনুদান প্রদানের পরিমাণ নির্ভর করবে, কোন এলাকায় কী সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।”
তিনি আরো জানান, অনুদান প্রদানের পর ৭৫ ভাগ টাকা খরচ হয়ে গেলে তা জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।
“তখন আমরা চাহিদা মোতাবেক সেই একই পরিমাণ টাকা তাদের আবার অনুদান দেব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাবছে এই কার্যক্রম তারই একটা উদাহরণ।”