ফেরার তাড়া সচিবালয়ে

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে সচিবালয়ে তেমন কর্মতৎপরতা দেখা যায়নি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2018, 05:47 AM
Updated : 14 June 2018, 05:47 AM

বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে হাজিরা দিয়ে জরুরি কাজ সেরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করে অনেকেই বাড়ির পথ ধরছেন। অন্যদিনের মতো দর্শনার্থীদেরও আনাগোনা নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে বাসা থেকে ব্যাগ গুছিয়ে সচিবালয়ে আসতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ তেমন কোনো কাজ নেই, ফলে দুপুরের দিকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেব, সেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি।”

জাতীয় নির্বাচনের বছর রোজার ঈদকে সামনে রেখে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বেশিরভাগই কয়েক দিন আগে নিজের এলাকায় চলে গেছেন। মন্ত্রীদের অনুপস্থিতে মন্ত্রণালয়গুলোতেও কাজে ঢিমেতাল লক্ষ্য করা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট উন্মোচন করা হয়। এদিন এর বাইরে সচিবালয়ে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ সভা বা অনুষ্ঠান ছিল না।

আগামী ১৬ জুন, শনিবার ঈদ হতে পারে এমনটা ধরে ১৫, ১৬, ১৭ জুন রোজার ঈদের সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা আছে। তবে রোজা ৩০টি হলে ঈদ হবে রোববার, সেক্ষেত্রে ১৮ জুনও ঈদের ছুটি থাকবে।

সাধারণত ঈদের আগে-পরের দু’এক দিন সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে কাজের তেমন চাপ থাকে না। ঈদে তিন দিন সরকারি ছুটি দেওয়া হলেও অনেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ছুটি দু’একদিন বেশি থাকে।

এবার গত বুধবার শব-ই-কদরের সরকারি ছুটি থাকায় ঈদের আগে বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে টানা পাঁচ দিনের ছুটি মিলে যেত।

একজন কর্মকর্তা বলেন, “বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করলে সবারই বাড়ি যেতে ভোগান্তি কম হত, ঈদের আগে একসঙ্গে বাস, ট্রেন, লঞ্চে চাপ পড়ত ন।”