সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালিত হয় বলে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বুলবুল মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
ওই সময় আউটডোরে কোনো কাজ না হওয়ায় অনেক রোগীকে ফেরত যেতে হয়।
বুলবুল বলেন, “আমরা বেতন-ভাতার অভাবে দীর্ঘ দিন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারও ৫ মাস, কারও ৬ মাসের বেতন বকেয়া। কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেও তার কোনো সুরাহা হয়নি। তাই আমরা কর্মবিরতি দিচ্ছি।”
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক বছর ধরেই বেতন ভাতা অনিয়মিত। গত ছয় মাসে কোনো বেতন-ভাতা পাননি তারা।
“আমরা এখন প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছি। কর্তৃপক্ষ যদি তাতেও সাড়া না দেয়, তাহলে আমরা আরও কঠিন কর্মসূচি দেব।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালটি ভালোই চলছিল। ২০১৬ সালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ হওয়ার পর থেকে সমস্যার সৃষ্টি।
হাসপাতালের পরিচালক এম এ সালাম আন্দোলনকারীদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে বলেছেন, তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৯২৫ সাল থেকে গরিব ও অসহায়দের এবং আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেকটা বিনামূল্যে সেবা দিয়ে যাচ্ছে, তারপরও আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য ছিল। “কিন্তু ২০১৬ সালের পর বেতন-ভাতা দ্বিগুণ হওয়ায় আমরা অনেকটা সমস্যায় পড়েছি। যেখানে আগে বেতন দেওয়া হত এক কোটি ৫৩ লাখের মতো, সেখানে এখন দুই কোটি টাকার বেশি বেতন দিতে হচ্ছে।”
“আমাদের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি নিয়ে সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে ভিজিট করে সমাধানের কথা বলেছেন,“ বলেন পরিচালক।