দুই সিটি করপোরেশনে পাঁচটি করে নতুন অঞ্চল গঠন করে সম্প্রতি দুটি আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-১ শাখা।
আদেশে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ক্ষমতাবলে সরকার ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন এবং অন্যান্য সেবামূলক কার্য পরিচালনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর আওতাধীন সম্প্রসারিত অংশে নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডকে পাঁচটি করে অঞ্চলে ভাগ করা হল।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড | অঞ্চল | ঢাকা উত্তর সিটির ওয়ার্ড |
৭৩, ৭৪, ৭৫ | ৬ | ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ |
৭০, ৭১, ৭২ | ৭ | ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫৯ |
৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ | ৮ | ৪৪, ৪৫, ৪৬ |
৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫ | ৯ | ৩৯, ৪০, ৪৩ |
৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১ | ১০ | ৩৭, ৩৮, ৪১, ৪২ |
দুই সিটি করপোরেশনের অঞ্চলগুলো সাধারণ প্রশাসনিক কাজ, হিসাবরক্ষণ (কর্মচারীদের বেতন, অফিস পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত খরচ), জোনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং সমাজকল্যাণের (কমিউনিটি সেন্টার, পার্ক, পাঠাগার, জিমনেশিয়াম, পাবলিক টয়লেট, শিশুকেন্দ্র, কবরস্থান, শ্মশানঘাট) বিষয়গুলো দেখভাল করবে।
পূর্তকাজ ও রক্ষণাবেক্ষণ, বৈদ্যুতিক কাজ ও রক্ষণাবেক্ষণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, দাতব্য চিকিৎসালয়, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, স্যানিটেশন, ভেটেরিনারি কার্যক্রম, জবাইখানা ব্যবস্থাপনা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মশক নিয়ন্ত্রণ, আবর্জনা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, স্যানিটারি ল্যান্ড ফিলিং, ডাম্পিং গ্রাউন্ড রক্ষণাবেক্ষণ, পৌরকর নির্ধারণ ও আদায়, লাইসেন্স প্রদান ও ফিস আদায় এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজও নতুন অঞ্চলগুলোর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া বস্তি উন্নয়নের অংশ হিসেবে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, পানীয় জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা আত্ম-কর্মসংস্থানে সহায়তা, উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করবে এসব অঞ্চল।
২০১৬ সালের ৯ মে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে নতুন করে ১৬টি ইউনিয়ন যুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন করে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)।
নিকারে অনুমোদনের পর ২০১৬ সালের ২৮ জুন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে নতুন ১৬টি ইউনিয়ন যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন করে যুক্ত হওয়া ১৬টি ইউনিয়নে ৩৬টি ওয়ার্ড গঠন করা হয়।