সোমবার শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম নূর নাহার ইয়াসমিন তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
স্বজন বাসের চালক মো. খোরশেদের পক্ষে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী এবং বিআরটিসির চালক মো. ওয়াহেদ আলীর পক্ষে মোহাম্মদ ইউনুস জামিন শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মকবুলুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন।
ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব গত ৩ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের রেষারেষিতে হাত হারান। দুই বাসের চাপায় তার ডান কনুইয়ের উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় রাজীবের মাথার সামনে-পেছনের হাড় ভেঙে যাওয়া ছাড়াও মস্তিষ্কের সামনের দিকে আঘাত লাগে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ওই ঘটনায় বেপোরোয়া গাড়ি চালানো এবং গুরুতর আহত করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ২৭৯/ ৩৩৮(ক) ধারায় একটি মামলা করে দুই বাসের চালককে তাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে পুলিশ খোরশেদ ও ওয়াহেদকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে।
রিমান্ড শেষে গত ৮ এপ্রিল দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। সোমবার বিচারক তা নাকচ করে তাদের কারাগারে রাখার আদেশ দেন।
এ মামলায় ২৭৯ ধারার দোষী সাব্যস্ত হলে দুই আসামির সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। আর ৩৩৮(ক) ধারার দুই বছরের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়।