প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা।
হামলার শিকার এই শিক্ষকের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিজ ইমতিয়াজ দাবি করছেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে তার বাবার উপর হামলা করা হয়েছিল।
গত ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় হামলার শিকার হন রফিকুল।
রাফিজ বলেন, “আক্রমণের ধরন থেকে স্পষ্ট যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। ঘটনার সময় তার করুণ অবস্থা দেখে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
“মৃত ভেবে তাকে রেখে ফেলে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।”
এই হামলার জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন রাফিজ।
ঘটনার পর প্রধান আসামিকে ধরার পর চেড়ে দেওয়া হয় দাবি করে তিনি বলেন, “পরবর্তীতে হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। সন্দেহ করা যাচ্ছে যে তাদের পেছনে স্থানীয় শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রভাব রয়েছে।”
রাফিজ বলেন, আইন বহির্ভূত বিভিন্ন কাজে সায় না দেওয়ায় আগে থেকে তার বাবাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা আক্তারও একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
তিনি বলেন, “এখন একটা রাতেও শঙ্কাহীনভাবে ঘুমোতে পারি না। আজ ওনাকে মারা চেষ্টা করেছে, কাল হয়ত আবারে করবে। প্রতিদিনই নানা হুমকি-ধমকিতে এলাকায় থাকা দুরূহ হয়ে গেছে।
“দোষটা কী বলতে পারেন? অন্যায় মেনে নেয়নি, এইটাই কি দোষ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।”