নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য মন্ত্রিসভার শোক

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৫১ জন আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2018, 12:50 PM
Updated : 19 March 2018, 12:50 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছে ও ২০ জন আহত হয়েছেন। এই বিষয়ে বৈঠকের শুরুতে মন্ত্রিসভা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। এজন্য একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।”

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্য শোক

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘স্বনামধন্য ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে মন্ত্রিসভা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। মন্ত্রিসভা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছে ও তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে।’

৬ মার্চ রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যু হয়।

শফিউল আলম বলেন, ‘তিনি (ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী ও নির্যাতিত হন। এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে সমাজের চোখে রাঙানি উপেক্ষা করে জনসম্মুখে যুদ্ধকালীন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার বিষয়ে তিনিই প্রথম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ২০১০ সালে দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০০৪ সালে রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকা তাকে ‘হিরো অব দ্য মান্থ’ মনোনীত করেছিল। তার আত্মজীবনীর নাম নিন্দিত নন্দন। এটি ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন

মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুটি বিষয়ের জন্য অভিনন্দন জানানো হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দেওয়ায় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

“গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। মন্ত্রিসভা মনে করে, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রিসভা মনে করে এ অর্জন সমগ্র জাতির।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা সংস্থা দ্যা স্টাটেকটিকস ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি এক জরিপে দক্ষ নেতৃত্ব রাষ্ট্রনায়কোচিত গুনাবলী ও মানবিকতা ও আন্তর্জাতিক পর‌্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নসহ ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচনায় থাকার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করে।

“এ জরিপে বলা হয় হয়, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশী আলোচিত ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা মানবিক ও রাষ্ট্রনায়কোচিত সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তিনি শুধু আশ্রয় দেননি মিয়ানমারে তাদের নিজভূমে অধিকার প্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক লড়াই করেছেন এবং জাতি সংঘসহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রসমূহকে সম্পৃক্ত করতে সফল হয়েছেন। বাংলাদেশের কূটনৈতিক দক্ষতায় মিয়ানমার বাধ্য হয়েছে রোহিঙ্গাদের সাথে প্রত্যাবাসনে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করায় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।