এছাড়া নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে বুধবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই পানি বাজারজাত করছিল।
অভিযানের শুরুতে ছোলমাইদ এলাকার ‘এ ওয়ান ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামের একটি কারখানায় যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই কারখানার বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকলেও পরিশোধন ছাড়া কলের পানি জারে ভরে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ অভিযোগে কারখানা মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দুই কারখানায় অভিযানের খবর পেয়ে পাশের ‘ক্রিস্টাল ড্রিংকিং ওয়াটার’ কারখানার মালিক-কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।পরে যন্ত্রপাতি ধ্বংস করে কারখানা সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোকাকোলা এলাকায় গিয়ে ‘ঢালি এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি অবৈধ কারখানার সন্ধান পায় আদালত। এই কারখানাতেও পানি পরিশোধনের কোনো যন্ত্রপাতি নেই। একসঙ্গে কয়েকটি নল দিয়ে অপরিশোধিত পানি জারে ভরে নেওয়া হচ্ছিল।
এ কারখানার মালিককেও পাওয়া না গেলেও আওলাদ হোসেন এবং রাসেল মিয়া নামে দুই কর্মীকে আটক করে তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ছয়টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তারা তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র বৈধ পেয়েছেন। তবে তারাও নিয়ম মানেনি।
“যে তিনটি কারখানার অনুমোদন আছে সেগুলোরও পরিবেশ ভালো না। তারা যে শর্তে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন পেয়েছিল তার কোনোটিই পালন করেনি। তাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ল্যাব নেই। যে জারে পানি দেয় সেগুলোও ফুড গ্রেড না। পানি পরিশোধনের যন্ত্র থাকলেও তা ব্যবহার না করে সরাসরি পাইপ দিয়ে পানি ভরে দেয়।”
তিনি বলেন, “এসব অভিযোগে চারটি কারখানা সিলগালা, দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছ।”
অভিযানে বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হকসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় র্যাব-১ এর সদস্যরা সহায়তা করেন।