তারপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা মহীউদ্দীন খান আলমগীর ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে সাংবাদিকদের সামনে এনেছিলেন; তবে ওই গ্রিলকাটা চোরদের গ্রেপ্তারের পরও তদন্তের অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব্ আসা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তার মেয়াদের চার বছর পেরুনোর পর বললেন, ‘শিগগিরই’ কূলকিনারা দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের ষষ্ঠ বছর পূর্তিতে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদকর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশ চলার সময় সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “আপনারা জানেন, হাই কোর্টের দিক-নির্দেশনায় আমাদের র্যাব বাহিনী এটা নিয়ে কাজ করছে এবং ডিএনএ নিয়ে কাজ করছেন।
“আমরা মনে করি, তারা (র্যাব) শিগগিরই আমাদের একটা …. দিয়ে পারবে। আলোকিত করতে পারবে।”
২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে ওই ঘরে তারা ছাড়া আর শুধু তাদের শিশু সন্তানটি ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে থানা পুলিশ, ডিবির ব্যর্থতার পর আদালতের নির্দেশে র্যাবের হাতে আসে দায়িত্ব।
হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর তদন্তে অগ্রগতির আশা করলেও তা ঘটেনি।
রুনির এক ‘বন্ধু’সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও খোলেনি রহস্যের জট।
বিচার দাবিতে রোববার প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, “সাংবাদিক দম্পতি হত্যা রহস্য এতদিনেও উন্মোচন করা যায়নি এটা বিশ্বাস করা যায় না। সাংবাদিকরা মনে করে, হত্যার রহস্য উন্মোচন হলেও রহস্যময় কারেণে তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।”