যুদ্ধাপরাধ: নোয়াখালীর ৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-জেরা শেষ

যুদ্ধাপরাধ মামলায় নোয়াখালীর সুধারামের আমির আলীসহ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2017, 09:36 AM
Updated : 20 Dec 2017, 09:36 AM

মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আসছে বছরের ২৪ জানুয়ারি দিন রেখেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ আদেশ দেয়।

মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- মো. জয়নাল আবদিন, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। এদের মধ্যে আসামি আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর পলাতক।

মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় অভিযোগ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের ১৫তম সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে ট্রাইব্যুনালকে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।

পরে সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। এছাড়া ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।

পরে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের পক্ষে কোনো সাক্ষী আসেনি। এ কারণে আগামী ২৪ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের জন্য দিন রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু অভিযোগ গঠনের আগে আসামি ইউসুফ আলী মারা যাওয়ায় গত বছরের ২০ জুন চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি অভিযোগ গঠন করা হয়।

“মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা করে। এছাড়া লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।”

২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৫ সালের ৩০ অগাস্ট শেষ হয়। পরে ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করে তদন্ত সংস্থা। এ ভিত্তিতেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়।

২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে আত্মসমর্পণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

চলতি বছরের ২০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৫ জন রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।